জয় শ্রীরাম লেখা মাস্ক বিলিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা : আটক ১৯ জন

10th February 2021 8:19 pm হুগলী
জয় শ্রীরাম লেখা মাস্ক বিলিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা : আটক ১৯ জন


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : জয়শ্রী রাম লেখা মাস্ক বিলি করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো শেওড়াফুলি তে । প্রশাসনিক কোনো অনুমতি ছাড়াই জিটি রোডে চলছিল মাস্ক বিলি কর্মসূচী বিজেপির । ঘটনার জেরে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ । আটক আরএসএস এর কর্মিরাও । ১৯ জনকে আটক করে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ।বুধবার সন্ধায় শেওড়াফুলি রিজার্ভেশান কাউন্টার রেল পার্কে  মাস্ক বিতরন করা কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে অন্যত্র  করার কথা ভাবেন তারা। মাস্ক বিতরন শুরু হয় শেওড়াফুলি বিবেকানন্দ স্কুলের সামনে থেকে। পরে বিজেপি কর্মীরা জয়শ্রী রাম লেখা মাস্ক বিলিতে সামিল হয়। ৩০ থেকে ৪০ জন পথ চলতি এবং বাড়ি বাড়ি মাস্ক বিলি করার পরে যখন জিটি রোডে উপর মাস্ক বিলি হচ্ছিল  সেই সময় পুলিশ গিয়ে আর এস এস এবং বিজেপি কর্মিদের আটক করে।শেওড়াফুলি ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। আরএসএস কর্মীদের অভিযোগ ৭ ফেব্রুয়ারী চাঁপদানীর পলতাঘাটে আর এস এস এর চক্ষু পরীক্ষা শিবিরে জয়শ্রী রাম মাস্ক পড়া নিয়ে তৃনমূল প্রাক্তন কাউন্সিলর জিতেন্দর সিং এর ঝামেলা হয় বলে অভিযোগ ।সেদিনই আর এস এস  ঘোষণা করে চাঁপদানী বিধানসভা  এলাকায়  সাত দিনে পঞ্চাশ হাজার জয়শ্রী রাম মাস্ক বিলি করা হবে। সেই মত আজ শেওড়াফুলিতে মাস্ক বিলি করে আর এস এস । বিনা অনুমতিতে জমায়েত করায় আটক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।